খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ পৌষ, ১৪৩১ | ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনার রূপসায় নৈহাটি ইউনিয়নের জয়পুরে সা‌ব্বির না‌মে এক যুবক গুলিবিদ্ধ
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৪১
  রাজশাহীতে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত
  দৈনিক জন্মভূমির সিনিয়র রিপোর্টার হারুন অর রশিদ (৫৫) আর নেই

হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় ঝোপের মাঝ থেকে তরুণী উদ্ধার

গেজেট ডেস্ক

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নড়াইল শহরের কুরিগ্রামে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান কমপ্লেক্সের পাশের একটি ঝোপ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই ছাত্রীর বাড়ি জেলার কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নে। তাকে উদ্ধারের পর অজ্ঞান অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার সকাল ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফেরে।

মেয়েটির বাবা বলেন, প্রতিদিনের মতো সে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পাশে কোচিং করতে আসে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তার সঙ্গে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এর পর তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না আসায় তাকে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের নতুন মোবাইল নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন করে বলা হয়, মেয়েকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক নারী কণ্ঠে মেয়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়, সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

তিনি আরও বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফেরার পর সে বলেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জ নিশিনাথতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ভ্যানে ওঠে সে। পরে মাছিমদিয়া সুলতান সেতুর কাছে গেলে একজন মুখে রুমাল ধরলে তার আর কিছু মনে নেই।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আরএমও মশিউর রহমান বাবু বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। তার সকল ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেতে দু’একদিন সময় লাগবে।

নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামি অজ্ঞাত। কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মেয়ের মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে আসামিদের চিহিৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!