মাঠে ফেরার জন্য নেইমারের সংগ্রাম চলছিল বেশ কিছুদিন থেকেই। ইনজুরি কাটিয়ে ক্লাব ফুটবলে ফিরলেও জাতীয় দলের নেইমারকে পেতে এখনো চলছে অপেক্ষা। তবে ব্রাজিলের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি এখনি নেইমারকে সেলেসাওদের হলুদ জার্সিতে ডাকছেন না। পুরো ফিট অবস্থাতেই এই প্লেমেকারকে পেতে চান আনচেলত্তি।
এরই মাঝে নেইমার অবশ্য নতুন করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। ব্রাজিলিয়ান লিগের ১১তম ম্যাচডেতে দেখতে হয়েছে লালকার্ড। সেটাও অবশ্য অদ্ভুত এক কারণে। হাত দিয়ে গোল করে লাল কার্ড পেতে হয়েছে তাকে। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে তার ওই লাল কার্ড দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছে সান্তোসের জন্যেও। বোটাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচটাই সান্তোস হেরে যায় ১-০ গোলে।
সান্তোসের হয়ে গেল মার্চের পর আজই প্রথম শুরুর একাদশে নেমেছিলেন নেইমার। মাঝে বেশকিছু ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সাবস্টিটিউট হিসেবে। বেটাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচটা তাই ছিল বিশেষ কিছুই। কিন্তু শেষটা হলো লালকার্ড দিয়ে।
ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফাউল করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৬ মিনিটে হাত দিয়ে গোল করে দেখেছেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। সেটাই পরিণত হয় লাল কার্ডে। গনজালো এস্কোবারের পাস ছিল বক্সের দিকে। বোটাফোগোর গোলরক্ষক ভিক্টর সেটা ঠেকিয়ে দেন। রিবাউন্ডে আসা বলটাকে এরপর হাত দিয়েই জালের দিকে ঠেলে দেন নেইমার।
ইচ্ছেকৃত হ্যান্ডবলের কারণে দেখতে হয় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। নিয়ম অনুসারে সেটা লালকার্ডই বটে। দশজনের সান্তোস এরপর ম্যাচে খাবি খেয়েছে বোটাফোগোর সামনে। ৮৬ মিনিটে আর্তুর গিমারেস গোল করে ম্যাচটাই জিতিয়ে দেন বোটাফোগোকে।
এই হারের পর ব্রাজিলিয়ান লিগের রেলিগেশন জোনেই চলে গিয়েছে সান্তোস। ১১ ম্যাচ থেকে তাদের অর্জন মোটে ৮ পয়েন্ট। আর ১০ ম্যাচ থেকে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে বোটাফোগো। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে আরেক ঐতিহ্যবাহী ফ্ল্যামেঙ্গো। ১১ ম্যাচে তাদের অর্জন ২৪ পয়েন্ট।
খুলনা গেজেট/এনএম