বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে নিউইয়র্কে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। এটি ছিল মূল মঞ্চে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু ঝালিয়ে নিতে গিয়ে পুড়ে গেল বাংলাদেশ দল। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৬০ রানের হারের স্বাদ পেতে হয়েছে শান্তদের। হারের সাথে এই ম্যাচে যোগ হয়েছে আরেকটি শঙ্কাও। বোলিং করতে গিয়ে হাতে চোট পেয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। আর এতেই শ্রীলংকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার।
ভারতের ব্যাটিংয়ের ২০তম ওভারে বল করতে এসেই আঘাত পান শরিফুল। হার্দিক পান্ডিয়ার একটি শট ঠেকাতে গিয়ে আঙুলে আঘাত পান তিনি। এরপরই মাঠ ছেড়ে যান এই পেসার। টিভিতে দেখা যায়, হাত ফুলে গেছে তার। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত জানিয়েছেন, পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে শরিফুলকে।
এদিকে ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চোটের কারণে হাতে ছয়টি সেলাই লেগেছে পেসার শরিফুলের। কমপক্ষে এক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। আর এতেই ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে খেলা নিয়ে দেখা নিয়েছে অনিশ্চয়তা।
ভিডিওবার্তায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীন শরিফুলের নিজের শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার শট ঠেকাতে গিয়ে বাম হাতের তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে যে জায়গা, সেখানে একটা স্প্লিট ইনজুরি হয়েছে। মাঠে তাৎক্ষনিক পরিচর্যার পরে খেলা শেষে নিকটস্থ নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে হ্যান্ড সার্জারির তত্ত্বাবধানে শরিফুলের হাতে ৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। দুইদিন পর ওর ড্রেসিং করা হবে। তখন বুঝতে পারবো শরিফুলের ফিরতে কত সময় লাগবে।’
আগে থেকেই ইনজুরিতে আছেন তাসকিন। এবার শরিফুল যদি সময়মত ইনজুরি থেকে সেরে না উঠতে পারেন, তা হবে বাংলাদেশের জন্য বড় ক্ষতি। বাংলাদেশ পেস ইউনিটের অন্যতম ভরসা শরিফুল। গতকাল ভারতের বিপক্ষে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৩.৫ ওভার করে খরচ করেছেন ২৬ রান। বাংলাদেশ দলের সাথে রিজার্ভ হিসেবে আছেন পেসার হাসান মাহমুদ। শরিফুলের চোট বড় হলে তাকেও দলে নিতে পারে বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এনএম