নড়াইলে তুচ্ছ ঘটনায় সানোয়ার হোসেন মোল্লা (৭০) নামে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে হাতুড়িপেটায় হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোরের বেসরকারি পঙ্গু হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত সানোয়ার হোসেন নড়াইল সদর উপজেলার চণ্ডিবরপুর ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি ভুমুরদিয়া গ্রামের মৃত গনি মোল্লার ছেলে।
নিহতের ছেলে মাহবুর মোল্লা জানান, গত ১০ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে তার ছোটভাই রফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে নড়াইল শহরে যাচ্ছিলেন। পথে ভাদুরিয়া এলাকায় একটি ট্রাক মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে দত্তপাড়া গ্রামের ফারুকের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। তখন ফারুক তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। ওইদিন বিকেলে তার বাবা সানোয়ার হোসেন মোটরসাইকেলযোগে নড়াইল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি দত্তপাড়ায় পৌঁছালে ফারুক তার সহযোগী আজিজুর, এনামুল, ফরিদ ও ইমরুল মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এরপর তারা বৃদ্ধ সানোয়ারকে ধরে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তারা বাবাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এখানে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ওইরাতেই যশোর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন ভোর চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, পাবলিক অ্যাসল্টের কারণে মারা যাওয়া একজনের মরদেহ পঙ্গু হাসপাতাল থেকে জেনারেল হাসপাতালে এসেছে। মৃতের শরীরে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, মারপিটের ঘটনায় সানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোরে মারা গেছেন বলে শুনেছি। মৃতের স্বজনরা অভিযোগ দিলে মামলা নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।