‘বাংলাদেশ দলের কোচরা গা-বাঁচিয়ে চলেন।’ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স নিয়ে এমনই আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর এই আলোচনা ডালপালা মেলেছে। যেখানে ১২.১ ওভারে ১১৫ রান টপকালে প্রথমবার সেনিফাইনালে খেলার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ দলের সামনে, সেখানে সমীকরণ মেলানোর কোনো তাড়া দেখা যায়নি ব্যাটারদের মধ্যে।
সেমিফাইনালের আশা শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ ইনিংসের ১৭তম ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে যখন দলীয় সংগ্রহ এক শ পার করে বাংলাদেশ দল, তখন ডাগ আউটে হাত তালি দিতে দেখা যায় প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে, সহকারী কোচ নিক পোথাস ও ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে। খুব কাছে গিয়েও সেমিফাইনালে না যাওয়ার আক্ষেপ ও মন খারাপের বিন্দুমাত্র রেশ ছিল না তাদের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপ শেষে কোচিং স্টাফের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে জিতলেও সুপার এইটে কোনো ম্যাচ না জেতায় সমালোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। এই দলের কোচিং স্টাফে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না এমন প্রশ্নে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘সবাই দিন শেষে ভালো করার চেষ্টা করে। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। কেনো ভুলভ্রান্তি হলো সেগুলো আমাদের বের করতে হবে।
এখানে টিম ম্যানেজম্যান্ট বলেন, যাদের আমরা কোচিং স্টাফ বুঝাই, তাদের কোনো গাফিলতি আছে কি না অথবা খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের বোঝাপড়ার সমস্যা হচ্ছে কি না এটা আমাদের জানা দরকার। তাদের মধ্যে কোন গ্যাপ ছিল কি না, সেটা আমাদের জানতে হবে।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে পুনরায় যোগ দেন হাতুরাসিংহে। একই বছরের মে মাসে দুই বছরের জন্য হয় পোথাসের সঙ্গে। সে অর্থে তাদের চুক্তি মেয়াদে শেষ হয়নি এখনো।
তবে আগামী ২ জুলাই বোর্ড সভায় তাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করবে বিসিবি। জালাল বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমরা এখনো আলাপ আলোচনা করিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওপর আমাদের একটা এজেন্ডা আছে মিটিংয়ে। বোর্ডে এসব নিয়ে আলোচনা হবে।’
এদিকে দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদ উল্লাহর বিশ্বকাপের হতশ্রী পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে জালাল বলেন, ‘সাকিব বা মাহমুদ উল্লাহ কারো নাম নিয়ে আমি বলছি না। যারা পারফর্ম করবে তারাই সামনে খেলবে। তাঁরা দুজন দলের হয়ে পারফরম্যান্স করে আসছে। আমরা তার মূল্য দিতে চায়। যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিল, সবাই সামর্থ্য দিয়েই দলে ছিল। ভবিষ্যতে যারা আসবে, তারাও নিজেদের সামর্থ্য দিয়েই আসবে।’
খুলনা গেজেট/এমএম