যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ জন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে এখনও শত শত মানুষ নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দাবানলে মাউইয়ের ঐতিহাসিক শহর লাহাইনার এক বড় অংশই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ শহরটি সহ বেশ কিছু এলাকায় এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন অগ্নিনির্বাপন কর্মীরা।
লাহাইনা থেকে সরিয়ে নেওয়া বাসিন্দারা বলেছেন, তাদের কারো কারো বাড়িতে লুটপাট হয়েছে, তবে পুলিশ এ খবর নিশ্চিত করেনি।
মাউই দ্বীপের পশ্চিমাংশে এখনো কোন বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ নেই। সেখানে অনুসন্ধানী দলগুলো এখনো দাবানলের শিকারদের খুঁজছে।
কোস্ট গার্ড বলেছে, শহরের পোতাশ্রয় এলাকার পানি থেকে তারা ১৭ জন লোককে জীবিত উদ্ধার করেছে – যারা আগুন থেকে বাঁচতে সাগরের পানিতে লাফিয়ে পড়েছিল।
বেঁচে যাওয়া ও বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যটকদের হোটেল ও ভাড়া বাড়িতে দুর্গত লোকদের রাখার জন্য তারা একটি পরিকল্পনা করছেন।
হাওযাইয়ে এই দ্বীপটিতে আমেরিকার অনেক ধনী ব্যক্তি বাস করেন যার মধ্যে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও আছেন। তিনি ও তার সঙ্গিনী লরেন সানচেজ ইতোমধ্যে দাবানলের শিকারদের জন্য ১০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
গত মঙ্গলবার এই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিলো এবং পরে হারিকেন ডোরার প্রভাবে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড বাতাসের কারণে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১৪ হাজার পর্যটককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়। তবে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখনও অনেক মানুষের সন্ধান পায়নি কর্তৃপক্ষ।
মাউই দ্বীপের কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এই দাবানলে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে অনেক বছর এবং শত শত কোটি ডলার লাগবে। গভর্নর গ্রীন বলেছেন, এটিই সম্ভবত হাওয়াই রাজ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
খুলনা গেজেট/এইচ