প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেও মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের হাতে হাইকোর্টের আদেশের কপি পৌঁছাতে পারেননি জারিকারক। কারণ তারা গ্রহণ করছেন না। নানা টালবাহানায় ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পুনরায় এফডিসিতে আসেন হাইকোর্টের দুই জারিকারক। তারা জানালেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন সদস্যের ভোটাধিকার বাতিল নিয়ে একটি মামলা চলমান। সেই মামলার বিষয়েই একটি আদেশনামা নিয়ে এসেছেন তারা।
কিন্তু আদেশনামা গ্রহণ করেননি শিল্পী সমিতির গত দুই মেয়াদের নেতা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। অবশ্য মিশা আজ এফডিসিতে উপস্থিত ছিলেন না। মিশা-জায়েদের সাড়া না পেয়ে অগত্যা শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের সামনে আদেশনামা ঝুলিয়ে দিয়ে গেছেন জারিকারকেরা।
বিষয়টি নিয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে জারিকারক বলেন, ‘আমরা রোববার এসে ঘুরে গেছি। মিশা সওদাগর এবং জায়েদ খানকে পাইনি। সমিতি থেকে বলা হয় নির্বাচনী ব্যস্ততায় তাদের পাওয়া যাবে না। আজ আবার আসি সকালে। জায়েদ খানকে পেয়েছি। তার সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু তিনি দিনভর নানা টালবাহানা করেও আদেশনামা গ্রহণ করেননি৷ তাই সমিতির সামনে টানিয়ে দিয়েছি৷’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে আগামী রোববার আদালতে রিপোর্ট দেবো৷ তারপর যা সিদ্ধান্ত নেয়ার আদালত নেবেন।’
বলে রাখা প্রয়োজন, মিশা ও জায়েদের নেতৃত্বে শিল্পী সমিতি থেকে ১৮৪ জন শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে বলে শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বাড়তে বাড়তে হাইকোর্ট অব্দি পৌঁছায়। যদিও কয়েকদিন আগে জায়েদ খান দাবি করেন, বাতিল হওয়া সদস্যের সংখ্যা ১৩০ জনের মতো হবে। এর মধ্যে অনেকেই মৃত।
খুলনা গেজেট/ টি আই