ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে ঘিরে সহিংসতায় চারজনের প্রাণহানির পর থমথমে অবস্থা চলছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে। সোমবার রাতভর সংঘর্ষ হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও গুজব ছড়ানো বন্ধে রাজ্য সরকার বুধবার পর্যন্ত সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রেখেছে। বড় ধরনের জমায়েতেও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মঙ্গলবার গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদের সব স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোমবার রাত থেকে টহল দিচ্ছে। খবর-এনডিটিভি
পুলিশ বলছে, সোমবার হরিয়ানার নুহ এলাকার খেদলা মোডে ধর্মীয় একটি মিছিলে বাধা দেয় একদল যুবক। তারা শোভাযাত্রায় ঢিল ছোড়ে এবং গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গুলিতে হোম গার্ড সদস্যদের দুজন নিহত হয়।
এরপর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। সন্ধ্যার দিকে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে গুরুগ্রাম-সোহনা সড়কে। যেখানে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। রাতভর সহিংসতায় তৃতীয় ব্যক্তি নিহত হন। এতে আহত হয়েছে ৪৫ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও থমথমে হরিয়ানার নুহ, গুরুগ্রাম, পালওয়াল ও ফরিদাবাদ এলাকা।
ওই শোভাযাত্রাটিতে অংশ নিতে সোমবার প্রায় আড়াই হাজার মানুষ নূহ এলাকায় এসেছিলেন। সহিংসতার কারণে সেখানকার একটি মন্দিরে তারা আটকা পড়েন। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
সাম্প্রদায়িক এ সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ২০টি মামলা নথিভুক্ত করেছে। এসব ঘটনাটায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বজরং দলের একজন কর্মীর পোস্ট করা একটি আপত্তিকর ভিডিও’র জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজকের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। আমি রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। দোষীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সহিংসতা কবলিত জেলাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দুই পক্ষের নেতাদের নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নুহতে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম