ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ক্রমেই বাড়ছে চোরের উপদ্রব। গত এক সপ্তাহে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে অন্তত পাঁচটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাও ঘটেছে। রাতের আধারে মাঠে কৃষকের পানের বরজের তার চুরির অভিযোগও পাওয়া গেছে। ফলে চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে অনেক সাধারণ মানুষের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৮ ফেব্রয়ারি রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের লাল্টু নামে এক কৃষকের একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়। ১৯ ফেব্রয়ারি একই গ্রামের আনার মন্ডল নামে আরও এক কৃষকের একটি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটে। এর পরদিন রাতে ওই গ্রামের কৃষক শুকুর আলী নামে আরও একজনের একটি গরু চুরি হয়।
একই রাতে ওই গ্রামের জীবন নামে একজনের বাড়ির গোয়ালঘরে গরু চুরি করতে গেলে গ্রামবাসীর ধাওয়ায় পালিয়ে যায় চোরচক্র। শহরতলির চটকাবাড়িয়া গ্রামের মাঠে পানের বরজে তার চুরির হিড়িক পড়েছে বলেও জানান কয়েকজন কৃষক। একের পর এক এসব চুরির ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে রাত জেগে নিজেদের গবাদিপশু পাহারা দিচ্ছেন ওই গ্রামের মানুষ।
ভুক্তভোগী কৃষক লাল্টু জানান, অনেক কষ্ট করে একটি ষাঁড় গরু লালন পালন করছিলাম। ভাবছিলাম আগামী কোরবানির ঈদে সেটি বিক্রি করব। কিন্তু আমার একমাত্র সম্বল এই গরুটিও চুরি হয়ে গেল। গ্রামের মানুষ ভয়ে এখন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, আমরা চোরচক্রকে ধরতে কাজ করছি। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করেন না। যেসব ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি সেগুলোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে অভিযোগ পেয়ে আমরা চুরি যাওয়া দু‘টি গরু উদ্ধার করেছি। সাথে ওই চোরচক্রকে গ্রেপ্তারও করেছি।
খুলনা গেজেট/এনএম