ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন মোটরসাইকেল চালক যুবক রাতুল হোসেন (২০)। তিনি উপজেলার নতিডাঙ্গা গ্রামের মন্টু আলীর ছেলে। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ-হরিণাকুন্ডু সড়কের কাঁপাশহাটিয়া বটতলা নামক স্থানে সড়কের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় মোটর সাইকেল আরোহী প্রান্ত নামে আরও যুবক আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে হরিণাকুন্ডু থেকে ঝিনাইদহগামী খন্দকার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (খুলনা-মেট্রো-জ-১১-০০২৮) পিছন থেকে ঝিনাইদহগামী ওই মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুই যুবক সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। এ সময় বাসটি মোটরসাইকেলের চালক রাতুলের বুকের ওপর ও পিছনে বসে থাকা যুবক প্রান্ত‘র পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই রাতুলের মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নিহত ওই যুবকের বুকে প্রচন্ড আঘাত ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আসার পরই তার মৃত্যু হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাসচালক পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ওই বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম