ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বাল্য বিয়ের হার কমাতে উদ্যোগ নিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। সচেতনতা বাড়াতে প্রতিদিন ছুঁটছেন স্কুলে স্কুলে। শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরছেন এর কুফল সম্পর্কে। বাল্য বিয়েকে না বলে পাঠ করাচ্ছেন শপথ বাক্য। গত দেড় মাসে অন্তত ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। তাঁর এমন উদ্যোগ ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে উপজেলাজুড়ে।
তিনি জানান, পারিবারিক অসচেতনতা, শিক্ষার অভাব, অর্থনৈতিক দৈন্যতাসহ নানা কারণে দেশে বাল্য বিয়ের হার বাড়ছে। এটি নিরোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি চাই সামাজিক সচেতনতা। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জণপ্রতিনিধি, শিক্ষকসহ সকলে মিলে যদি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায় তাহলে এর হার কমে যাবে।
সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে উপজেলার কাঁপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শাখারিদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বাল্য বিয়ের কুফল, আত্মহত্যা, ইভটিজিং, মাদক, জঙ্গিবাদ, মোবাইল ফোনে প্রতারণা ও নারী অধিকার বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন।
এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষা নারীর অধিকার। লেখাপড়া শিখে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারলেই একজন নারী তাঁর জীবনের কাঙ্খিত সফলতা পাবে। পরিবারেও ফিরবে স্বচ্ছলতা। নারীর উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা বাল্য বিয়ে। এই অভিশাপ থেকে তাঁদেরকে মুক্ত করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আর নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে মেয়েদের নিরাপদ পথচলা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, রাস্তাঘাট ও গণপরিবহনকে নারীবান্ধব ও যেীন হয়রানিমুক্ত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।