ঝিনাইদহের হরিণাকু-ুতে নাতির হাতুড়িপেটায় দাদীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বলরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গ্রামের মনির উদ্দিন মন্ডলের স্ত্রী রাশিয়া বেগম। এ ঘটনায় নাতি আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আটক মান্নান মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। ঘটনার দিন বিকেল থেকে মা-বাবাসহ বাড়ির লোকদের ওপর চড়াও হয়। তার আচরণে ভীত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পাশের গ্রামে চলে যায় স্বজনরা। রাতে সে সবাইকে বাড়িতে ডেকে আনে। পরে রাত আড়াইটার দিকে দাদির শোবার ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে ধরে উঠানে নিয়ে উপর্যপুরি হাতুড়িপেটা করে। এ সময় তাঁকে প্লায়ার ও কুর্নি দিয়েও দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
আব্দুল মান্নানের বাবা ও নিহতের ছেলে ফজলুর রহমান বলেন, দিনের বেলায় ছেলের অস্বাভাবিক আচরণে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পাশের গ্রামে চলে যান। পরে রাতে ছেলে তাঁদেরকে ডেকে আনে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী ছেলের ভয়ে বাড়িতে না ঘুমিয়ে রাস্তায় হেটে বেড়াচ্ছিলেন। মায়ের চিৎকারে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁদেরকে মারতে তাড়া করে। পরে ভয়ে তাঁরা দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেন।
তিনি আরও জানান, মাকে হত্যা করে তাঁর বুকের ওপর বসে ছিল মান্নান। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলে মাঝে মাঝে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তখন সে সবাইকে মারতে উদ্যত হয়। তবে দুই একদিন পরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এর আগেও একবার সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল।
হরিণাকু-ু থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, হত্যাকারী ও নিহত নারী সম্পর্কে দাদি-নাতি। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আসামিকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড