ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ধানক্ষেত থেকে আলামিন (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে অন্য কোথাও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে। নিহত আলামিন উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের দোয়ারপাড় মাঠের ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পার্শ্ববর্তী আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের প্রবাসী হাসিবুল ইসলামের স্ত্রী চম্পা খাতুন (৩০) ও আরেক নারী পারুলা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পার্শ্ববর্তী আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী হাসিবুলের পানবরজে দিনমজুরের কাজ করার সুবাদে তার স্ত্রী চম্পা খাতুনের সাথে নিহত আলামিনের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুত্র ধরে তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। প্রায়ই আলামিন হাসিবুলের বাড়িতে আশা-যাওয়া করত। এ নিয়ে হাসিবুলের পরিবারে মাঝে মধ্যেই গোলযোগ হতো।
এদিকে নিহত আলামিনের মা ফিরোজা খাতুন বলেন, বুধবার রাত ৯ টার দিকে তার ছেলেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায় হাসিবুলের বাড়ির লোকজন। পরে রাত ১১ টার দিকে হাসিবুলের শ্বশুর ও শ্যালক তাদের বাড়িতে গিয়ে জানায় আলামিনকে গ্রামের লোকজন তাড়া করেছে। সে তাহেরহুদা গ্রামের দিকে দৌড়ে পালিয়েছে। এখন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওরাই তাকে হত্যা করে তার লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রেখেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম বলেন, পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে অন্য কোথাও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে। অথবা ওই ধানক্ষেতের পানিতে মুখ চেপে ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম