ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে আশান উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে চুরির অপরাধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার(৭ জুন) ভোরে তাকে হত্যা করে কে বা কারা তার লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতাল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। সে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিতলে রতনপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন।
নিহতের স্ত্রী জানান, ঢাকার নবীনগর এলাকায় তার স্বামীর পান বিড়ির দোকান রয়েছে। কয়েকদিন আগে সে বাড়িতে আসে। গত রোববার সে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে সোমবার রাতে বাড়িতে ফেরার পর কিছু লোক তাকে ডেকে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, সোমবার উপজেলার শিতলী গ্রাম থেকে একটি আলমসাধু চুরি হয়। গ্রামবাসী তাড়া করে নিহতের নিজ গ্রাম থেকে ধরে তাকে কাঁপাশহাটিয়া গ্রামের কলেজ এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে তারা তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হলে ভোরে তার লাশ হাসপাতাল চত্তরে ফেলে রেখে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
হরিণাকুন্ডু হাসপাতালের আরএমও আশরাফুল ইসলাম জানান, ভোরে একটি বাচ্চা ইজিবাইকে করে হাসপাতাল চত্তরে ওই ব্যক্তির লাশ ফেলে রখে পালিয়ে যায়। তার মাথা, মুখ, পিঠ, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে উপজেলার শিতলী গ্রাম থেকে একটি আলমসাধু চুরির অপরাধে ওই ব্যক্তিকে ধরে আনা হয় বলে জানা গেছে। রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নামে আলমডাঙ্গা থানায় একটি চুরির মামলা আছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।