ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ৩০জন কৃষকের প্রায় ৫০ বিঘা জমির পানবরজ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ওই কৃষকদের ৮০-৯০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার দুপুরে উপজেলার শিতলী গ্রামের শিতলী মান্দারতলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের সদস্যরা দুই ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিড়ি সিগারেট থেকে এই আগুনের সুত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক দল ও পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুর দুইটার দিকে ওই মাঠে মান্দারতল গ্রামের কৃষক জাফর আলীর একবিঘা জমির পানবরজে আগুন লাগে। মাঠে ফসলি জমিতে কর্মরত একজন কৃষক আগুন দেখে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। প্রথমে শত শত গ্রামবাসী পানি, কলাগাছ ও কাঁদা ছিটিয়ে আগন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আগুন পুরো মাঠে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় জয়নাল আবেদিন, রবিউল ইসলাম, রিয়াজুল, মিজানুর, লিংকন, রিপন,শরিফুল, আশাদুল, জানরুদ্দিন, রাজুহার, কুরবান, ইউনুছ আলী, দিপুল, মুন্নাফ, টুলু, ঝনু, মতিয়ার, মশিয়ারসহ অন্তত ৩০জন কৃষকের প্রায় ৫০ বিঘা জমির পানের বরজে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দেন। খবর পেয়ে হরিণাকুন্ডু ও ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উপজেলার মান্দারতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাফর আলী ও শিতলী গ্রামের কৃষক দিপুল জানান, দুপুরে শিতলী গ্রামের কৃষক মশিউর ওই মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন। প্রথমে তিনি পানের বরজে আগন জ্বলতে দেখে চিৎকার করেন। এসময় এলাকাবাসী ছুঁটে আসেন। পরে আগুনের ভয়াবহতায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জগদিস চন্দ্র বসু বলেন, পানবরজে কৃষকরা কাজ করার সময় বিড়ি সিগারেট থেকে এই আগুনের সুত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হরিণাকুন্ডু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন ইনচার্জ বিপুল হোসেন জানান, দুপুরে ওই এলাকার মাঠে পানের বরজে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিণির্বাপক দল পাঠানো হয়। আগুনের তীব্রতা থাকায় ঝিনাইদহ থেকে আরও একটি ইউনিটের সদস্যদের সেখানে আনা হয়। আগুনে ৩০জন কুষকের প্রায় ৫০ বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে গেছে। এতে ওই কৃষকদের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বিড়ি সিগারেট থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ টি আই