ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভায় বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন হতে পারে, নির্বাচন কমিশনের এমন ইঙ্গিতের পরে মাঠে নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থক। দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। কর্মী-সমর্থককে নিয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে ছুটছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২০০২ সালে তৎকালীন হরিণাকুণ্ডু, তাহেরহুদা ও দৌলতপুর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা নিয়ে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে এ পৌরসভার যাত্রা শুরু। বর্তমানে পৌরসভার ভোটার ১৭ হাজার ২৯৬ জন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ৮ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নূর-উল্লাহ জানান, আগামী নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা এবং ডিসেম্বরে পৌর নির্বাচন হতে পারে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় তারা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তারা হলেন- বর্তমান মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের (একাংশের) সভাপতি শাহিনুর রহমান রিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফারুক হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য (প্রস্তাবিত কমিটি) সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক।
বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো তোড়জোড় না থাকলেও গত দ্’ুবারের পরাজিত প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি জিন্নাতুল হক খানই দল নির্বাচনে গেলে এবারও প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
জিন্নাতুল হক খান জানান, দল নির্বাচনে গেলে তিনি এবারও প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি দলীয় মনোনয়নের বিষয়েও শতভাগ আশাবাদী।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এম এ মজিদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থী জিন্নাতুল হক খানকে এবারও দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী শাহিনুর রহমান রিন্টু বর্তমান মেয়র হিসেবে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন দাবি করে জানান, এবারও তিনি দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
দলটির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ফারুক হোসেন জানান, মনোনয়ন পেলে তিনি ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত হবেন। তিনি হরিণাকুণ্ডুকে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত করে পৌরবাসীর সহায়তায় মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবেন।
অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিকও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে মেয়র হিসেবে নয়, পৌরবাসীর একজন সেবক হিসেবে আমি তাদের পাশে থাকব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, পৌর নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড বিবেচনা করা হচ্ছে। সবদিক বিবেচনা করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে জনসাধারণের কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য নেতাদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
খুলনা গেজেট/এআইএন