রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই ভেঙ্গে পড়েছে মাস খানেক আগে তৈরি কালভার্ট। হাতের স্পর্শে ভাঙ্গছে ঢালাই। বড় গর্ত যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে। কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই খাস্তা ইটে রাস্তা তৈরির মহোৎসবে মেতেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে বেড়িয়ে পড়ছে দুর্নীতির নানান দৃশ্য। প্রকল্পের নাম মামুদকাটি মোড় হতে হরিঢালী ঘোষপাড়া সড়ক।
সরেজমিন পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নে গেলে দেখা মেলে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের নানা চিত্র। মামুদকাটি মোড় হতে কয়েক’শ গজ সামনে হাজরা তলার মোড় জমাদ্দার বাড়ি। নির্মাণাধীন সড়কে মোট নয়টি কালভার্টের এখানে একটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার মালামাল ভর্তি মাহেন্দ্রের ভারে আচমকা ভেঙ্গে পড়ে কালভার্টের মধ্যবর্তী বেশ কিছু অংশ। সকাল না হতে গর্তটি আকার বড় হয়ে সৃষ্টি হয়েছে মৃত্যুকুপে। কালভার্ট ভাঙ্গার দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছে অনেকে। গতকাল ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন সদ্য যোগদানকারী উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান।
কাজের মানে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি বিস্তারিত তথ্য এ মুহুর্তে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
পরবর্তীতে মুঠো ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, ৫ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে সড়ক নির্মাণ হবে ৩৯০০ মিটার। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন, তবে তাৎক্ষণিক ভাবে তিনি কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দাম্ভিক ও সুচতুর ঠিকাদার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ থেকে ৯ টি কালভার্টের কাজ সম্পন্ন করেছে। নামমাত্র তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে চোখে বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে শুরু করে দুর্নীতির মহোৎসব। নম্বর বিহীন খাস্তা ইটের খোয়া দিয়ে তৈরি করছে রাস্তা এবং কালভার্ট। অল্প বৃষ্টিতে ইট গলতে শুরু করেছে এমনকি কালভার্ট নির্মাণের মাস না যেতেই ভেঙ্গে পড়েছে।
অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিয়াউল ট্রেডার্সের মালিক ঠিকাদার টিটো। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য পরিবহনের প্রয়োজনে কালভার্টটি মেরামত করা হয়েছে মাত্র।’ তিনি স্থানীয়দের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম