শীতকালে দেশে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়। এ সময় সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র গুলো লোকে লোকারণ্য হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তার ভিন্ন চিত্র। পর্যটকদের পেয়ে ব্যবসায়ীরা এ সময় উজ্জীবিত থাকার কথা থাকলেও রাজনীতির অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে লোকসানের মুখে পড়েছে দেশের পর্যটন খাত। দেশব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি মৌসুমে প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। প্রতি বছর এ সময় দেশ-বিদেশের নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে সুন্দরবন।
রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা হরতাল, টানা অবরোধ ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভরা মৌসুমেও প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ সুন্দরবন। হাতেগোনা কয়েকজন স্থানীয় এবং আশপাশের জেলার দর্শনার্থী এলেও তা একেবারে সামান্য। গেলো মহাসমাবেশ, হরতাল আর তিন দিনের অবরোধ আতঙ্কে সুন্দরবনে পর্যটক নেই বললেই চলে। ফলে লোকসান গুনছেন এ পেশার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সুন্দরবনে ভ্রমণের লঞ্চ ও জাহাজে বুকিং দিয়েও বাতিল করে দিচ্ছেন পর্যটকরা।
মৌসুমের শুরুতেই এভাবে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এ পেশার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতে অবরোধে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প। পর্যটক না থাকায় সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সদস্য এমাদুল বলেন, প্রতিবছর এই দিনগুলোতে হাজার হাজার পর্যটকদের ভিড়ে সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, ত্রিকোন আইল্যান্ড, টাইগার পয়েন্ট, দুবলা, হিরণ পয়েন্ট, নীলকমল অভয়ারণ্য এলাকায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হতো। বন বিভাগ, মোংলা বন্দরের রেস্ট হাউস, সুন্দরবন অভ্যন্তরের ৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ট্যুরিস্ট জলযানগুলো এ মৌসুমে পর্যটকদের ভিড়ে মুখর থাকত। কিন্তু টানা অবরোধের কারণে এসব স্পটে এখন পর্যটকদের দেখা মিলছে না। সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য যারা আগাম যারা বুকিং দিয়েছিলেন তাও তারা বাতিল করেছেন। এতে ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, হরতাল- অবরোধের কারণে ভরা মৌসুমেও প্রায় পর্যটক শূণ্য হয়ে পড়েছে সুন্দরবনের করমজল।
খুলনা গেজেট/ টিএ