যশোর চাঁচড়ার বর্মণপাড়ার মিথুন বর্মণকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সুশংকর বর্মণকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর মামলার রায়ে এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত সুশংকর বর্মণ একই এলাকার মৃত দুলাল চন্দ্র বর্মণের ছেলে। তিনি কারাগারে আটক আছেন।
মামালা সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে আসামি মিথুন বর্মণের পরিবারসহ এলাকাবাসীর সুশংকর বর্মণের সাথে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে সুশংকর নানা ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু করে।
২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে মিথুন বর্মণ অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় সুশংকর বর্মণ তার গতিরোধ করে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সুশংকর ক্ষিপ্ত হয়ে মিথুনকে মারপিট ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আহত মিথুনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মিথুনের কাকা বাসুবেদ বর্মণ বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ এপ্রিল আসামি সুশংকরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিপ্লব হোসেন।
মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি সুশংকর বর্মণের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড