ঢাকায় ৯ দেশের উচ্চ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন সামরিক-কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের সভা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) গুলশানের রাফিনাতো রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান, কাতার, মিয়ানমার, নেপাল ও অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স অ্যাটাশেরা ওই নৈশভোজে মিলিত হন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত সামরিক-কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের সভা ও নৈশভোজ চলে। এছাড়া তারা যে রাফিনাতো রেস্টুরেন্টে সভা ও নৈশভোজে অংশ নেন সেটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের মালিকানাধীন এবং তার বাসা ওই রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন। রেস্টুরেন্টটি গুলশান-২ নম্বরের ৩৬ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়িতে।
নৈশভোজে বাংলাদেশের কেউ অংশগ্রহণ করার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। নৈশভোজ চলাকালীন রেস্টুরেন্টটিতে কোনো কাস্টমারকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আমেরিকার নতুন ডিফেন্স অ্যাটাশে বাংলাদেশে আসার পর সবার সঙ্গে পরিচিত হতেই নৈশভোজটি রাখা হয়। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
সভা ও নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের সিনিয়র ডিফেন্স অফিসিয়াল এবং ডিফেন্স অ্যাটাশে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিশেল ই ডি মিশেই, চীনের সিনিয়র ডিফেন্স অ্যাডভাইজার কর্নেল ডু শিনসেং, অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স অ্যাটাশে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জন ডেমপসি, ভারতীয় হাইকমিশনের ডিফেন্স অ্যাটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মানমিত সিং সাবারওয়াল, তুরস্কের ডিফেন্স অ্যাটাশে কর্নেল ইয়ারদাল, কুয়েতের ডিফেন্স অ্যাডভইজার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহমেদ সাদ আল রাশিদ, নেপালের ডিফেন্স অ্যাটাশে রোশান সামশের রানা, পাকিস্তানের ডিফেন্স অ্যাটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আলী ইজাজ রাফি ও মিয়ানমারের ডিফেন্স অ্যাটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সোই নিয়ুন্ত।
এছাড়াও সেখানে মার্কিন দূতাবাস এবং ভারতীয় হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এইচ