চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক কিন্তু এখনো চূড়ান্ত নিবন্ধন করেননি তাদের জন্য ‘একদিনের বিশেষ’ সুযোগ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেজন্য মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) হজের নিবন্ধনের সার্ভার খুলে দেওয়া হবে। চলতি বছর এটিই শেষ সুযোগ বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম হজ নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত নিবন্ধন বন্ধ করা হয়। হজযাত্রী ও এজেন্সিগুলোর অনুরোধে চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য আজ নিবন্ধন চলবে।
গত ২০ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, হজযাত্রী ও এজেন্সিগুলোর অনুরোধে চলতি বছর হজে যেতে আরও একদিন হজযাত্রী নিবন্ধন চলবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর গত ১৬ এপ্রিলের পত্র ও হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধন সার্ভার আগামী ২৫ এপ্রিল একদিনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও বলা হয়, নিবন্ধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক উন্মুক্ত রয়েছে এবং উভয় ব্যবস্থাপনায় নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যাওয়ার সুযোগ আছে। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। কোনোক্রমেই আর সময় বাড়ানো যাবে না।
বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন সৌদি সরকারকে আগামী ৯ মের মধ্যে জানাতে হবে। এজন্য নিবন্ধনের শেষ সুযোগটুকু দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। অর্থাৎ নিবন্ধনের বাকি আছে ৭ হাজার ৫০৩ জনের। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো কোটা সরকারি এবং বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনা টিম সদস্যদের দিয়ে পূরণ হবে। সে হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রকৃত কোটা বাকি আছে ৪ হাজারের কিছু বেশি।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই কোটা পূরণ না হলে সৌদি সরকারকে ফেরত দিতে হবে। এই ফেরত দেওয়া ঠেকাতে একদিনের সুযোগ দিতে চায় মন্ত্রণালয়। তারা জানান, অনেকে মনে করেছে আরও হয়তো সময় বৃদ্ধি হবে। কিন্তু ১১ তারিখের পর সময় না বাড়ায় অনেকে হজ এজেন্সি অফিসে যোগাযোগ করেন। তাদের অনুরোধে এ সময় বাড়ানো।
এদিকে গত ১৬ এপ্রিল থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন এমন হজযাত্রীদের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সব জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্স, ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এবং হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন এবং রশিদ গ্রহণ করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পর পাসপোর্ট স্ব স্ব এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রশিদ গ্রহণ করবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম