হজ ইসলামের ফরজ বিধান। ঈমান, নামাজ, রোজা প্রত্যেক সুস্থ, প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের ওপর ফরজ হলেও হজ সবার ওপর ফরজ নয়। বরং যার কাছে মক্কায় গিয়ে নিজের দেশে আসার পরিমাণ সম্পদ আছে নিজের মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত তার ওপর হজ ফরজ।
তবে শর্ত হলো, হজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিকে সব ধরনের ঋণ থেকে মুক্ত হতে হয়। তাছাড়া হজ করতে যত টাকা ব্যয় হবে, তা নিজে পরিশোধ করতে হবে। কোনো রকমের ধার বা ঋণ করে হজ করা যাবে না। এক কথায় ঋণমুক্ত শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ওপরেই হজ ফরজ।
যদি কারো কাছে এ পরিমাণ সম্পদ না থাকে যে তিনি এর মাধ্যমে হজের খরচ বহন করতে পারেন। তবে ওমরা করা মতো সামর্থ্য আছে তার। তাহলে জীবনে একবার ওমরাহ করা সুন্নতে মুআক্কাদাহ।
কারো কাছে ওমরাহ করা পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার জন্য ওমরাহ করা সুন্নত। আর ওমরার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। শুধু যিলহজ মাসের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরূহ।
এছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ করা জায়েয আছে। আর রমজান মাসে ওমরাহ করা সবচেয়ে উত্তম।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানে একটি ওমরাহ করা আমার সাথে একটি হজ করার সমতুল্য। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৬৩)
খুলনা গেজেট/এএজে