দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও সাড়া মিলছে না হজ নিবন্ধনের। এখনো নিবন্ধনের বাকি ৮ হাজার ২৪৪ জন। শেষ ৭ম দফায় ৬ দিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৭৯৪ জন হজযাত্রী। বাধ্য হয়ে ফের সময় বাড়ানো হচ্ছে। ধর্ম সচিব সৌদি আরব থেকে সন্ধ্যায় দেশে আসার কথা রয়েছে। তারপর ৮ম দফা সময় বাড়ানোর ঘোষণা আসবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মতিউল ইসলাম বুধবার বলেন, ‘সচিব স্যার আজ সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরছেন। তারপর নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হবে।’
হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে হজ প্যাকেজের খরচ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এর মধ্যে দফা দফায় সময় বাড়িয়েও হজযাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। গত রোববার (২ এপ্রিল) আগামীতে হজের খরচ আরও বাড়বে বলে জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং সৌদি আরবের হারাম শরীফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক পরিমাণ অর্থ দিয়ে হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় এ বছর হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায়। একই ধারাবাহিকতায় বলা যায়, আগামী বছরগুলোয় হজ প্যাকেজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ, ভেঙে ফেলা বাড়ি/হোটেলসমূহ আবার গড়ে তুলতে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।
হজ এজেন্সিগুলো বলছে, সৌদি সরকার থেকে পাওয়া নির্ধারিত কোটা পূরণ করে হজযাত্রী পাঠাতে না পারলে আগামীতে এ সংখ্যক কোটা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। তাই কোটা পূরণ করতে এখন বেশ তৎপর মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, আজ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হজে যাওয়ার জন্য মোট নিবন্ধন করেছেন মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৪ জন। সে হিসেবে এখনো নিবন্ধনের বাকি রয়েছেন ৮ হাজার ২৪৪ জন। এ অবস্থায় ফের নিবন্ধনের সময় বাড়াবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ ৩০ মার্চ সময় বৃদ্ধি করার সময় মোট নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬০ জন। অর্থাৎ ৬ দিনে মাত্র ৭৯৪ জন হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন।
বাংলাদেশ সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী নিবন্ধন সিস্টেমের বুধবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৪ জন। এর মধ্যে সরকারিতে কোটা ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৬১ জন। সে হিসেবে বেসরকারিতে ফাঁকা রয়েছে ৩ হাজার ২৩৭ জন। এছাড়া সরকারিতে বাংলাদেশের জন্য কোটা রয়েছে ১৫ হাজার। আজ বিকেল পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৯৩ জন। সে হিসেবে ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ৭ জন।