প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘হজ যাত্রীদের জন্য আগে বাইরে থেকে বিমান নিয়ে আসতে হতো। এখন আর সেটার প্রয়োজন হবে না, আমাদের নিজস্ব বিমানেই এখন আমরা হাজিদের খুব ভালোভাবে পাঠাতে পারি এবং ফেরত আনতে পারি।’
আজ রোববার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া দুটি উড়োজাহাজ ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দুটি উড়োজাহাজ ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’র উদ্বোধন করছি। এর ফলে আমরা আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে পারব। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হবে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি এই বিমানগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকালকার যুগ, আপনারা জানেন গ্লোবাল ভিলেজ হয়ে গেছে। প্রযুক্তির ব্যবহার—এখন যারাই বিমানে যায় ওয়াইফাই কানেকশন, ইন্টারনেট সার্ভিস সবাই চায়। নতুন বিমানগুলোতে এ ধরনের সুযোগ আমরা রেখেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এয়ারলাইনসের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে অনুরোধ করব, এটা আমাদের দেশ। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। এদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সবারই অপরিহার্য, দায়িত্ব ও কর্তব্য। দেশ যত উন্নত হবে, যত অর্থনৈতিকভাবে আমরা সাবলম্বী হতে পারব। আমাদের যাত্রীসেবা যত উন্নত করতে পারব, তত দেশের লাভ হবে, দেশের মানুষের লাভ হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন, সেটাই আমরা চাই।’
উদ্বোধন হওয়া উড়োজাহাজ দুটি বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে কেনা তিনটি উড়োজাহাজের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়োজাহাজ দুটির নাম রেখেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অত্যাধুনিক ড্যাশ ৮-৪০০ দুটি উড়োজাহাজ বহরে যুক্তকরণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এতে যাত্রীসাধারণ অতি সহজেই তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।
কানাডার বিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত অত্যাধুনিক ৭৪ সিট সংবলিত নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। ড্যাশ-৮ বিমানটি খুব ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়নক্ষম ও স্বল্প খরচে নিরবচ্ছিন্ন ও মসৃণ উড্ডয়নের জন্য বিখ্যাত। এই মডেলের বিমানগুলোতে কেবিন নয়েজ সাপ্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। পরিবেশবান্ধব এবং অধিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ এ উড়োজাহাজে রয়েছে হেপা ফিল্টার প্রযুক্তি যা মাত্র চার মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করার মাধ্যমে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের বাতাসকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করে যা যাত্রীদের যাত্রাকে করে তোলে অধিক নিরাপদ। এছাড়া এ উড়োজাহাজে বেশি লেগস্পেস, এলইডি লাইটিং এবং প্রশস্ত জানালা থাকার কারণে ভ্রমণ হয়ে উঠবে অধিক আরামদায়ক ও আনন্দময়।
খুলনা গেজেট/এনএম