হংকং-এ প্রথমবারের মতো একজন ব্যক্তির শরীরে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩০ বছরের ওই ব্যক্তিকে দেখতে বেশ সুস্থ-সবল বলে প্রতীয়মান হয়। করোনার বিরুদ্ধে নিজের প্রথম লড়াইয়ের সাড়ে চার মাসের মাথায় ফের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিনি। সোমবার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউনিভার্সিটি অব হংকং বলছে, প্রথম দফায় সুস্থ হয়ে উঠার আগে ওই ব্যক্তি ১৪ দিন ধরে হাসপাতালে ছিল। এরপর তার শরীরে আর কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তারপরও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় তার শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
হংকং-এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে দেখা গেছে, ভাইরাসের দুটি স্ট্রেন স্পষ্টতই আলাদা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, একজন রোগীর ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়াটা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফের শনাক্ত হওয়ার ঘটনা বিরল হলেও এটি খুব গরুতর কোনও ঘটনা নয়।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের মাইক্রোবায়াল প্যাথোজেনেসিসের অধ্যাপক ব্রেন্ডন ওয়ারেন বলেন, ‘এটি পুনরায় সংক্রমণের একেবারেই বিরল উদাহরণ।’
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার-এর হিসাব অনুযায়ী দুনিয়াজুড়ে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৩৮ লাখ আট হাজার ৫৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণভাবে মনে করা হয়, একবার আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে আসার মাধ্যমে তাদের শরীরে এ ভাইরাস মোকাবিলার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, যার ফলে ভাইরাসটি একই ব্যক্তিকে পুনরায় আক্রান্ত করতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর সবচেয়ে শক্তিশালী ইমিউন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মধ্যে।
এই ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী বা এটি কত দিন স্থায়ী তা এখনও পরিষ্কার নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ বিষয়ে আরও ইতোপূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে আরও বিশদ
গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন