সাতক্ষীরায় সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে কলারোয়া থেকে সরসকাটি বাজার অভিমুখে সড়কের কার্পেটিং সিলকোটের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কলারোয়া উপজেলা সদর থেকে সরসকাটি বাজার অভিমুখে সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ দুর্নীতি ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে করা হচ্ছে। সড়কে পিচঢালাই দেওয়ার আগে ব্রাশ বা কোদাল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করার কথা থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। কোন রকমে ঝাড়ু দিয়ে কেরোসিন ছিটিয়ে পিচ ঢেলে দায়সারা গোছের কাজ করছে ঠিকাদার। এছাড়া সড়কে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্মমানের পিচ। এতে সহযোগিতা করছে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা।
তারা আরো বলেন, সড়কটির নির্মাণকাজ তত্ত্বাবধান করছেন সাতক্ষীরা সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম। কার্পেটিংয়ের কাজ চলাকালে তাকে সেখানে খুব একটা দেখা যায় না। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছেন। কাজ শেষ না হতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। তারা সঠিকভাবে সড়কটির কার্পেটিংয়ের কাজ করার পাশাপাশি এই অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান লাল্টু জানান, কলারোয়া সদর থেকে সরসকাটি অভিমুখে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের আওতায় সড়কের প্যাকেজ নির্মাণকাজ চলছে। কার্পেটিং কাজটি চলছে ৯০ লাখ টাকার। এ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। সড়কের দেওয়া কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে হাতের টানে। রাস্তা পরিষ্কার না করে কাদামাটির ওপর দেওয়া হচ্ছে পিচ। এ কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এই সড়ক নির্মাণ কাজে সওজ বিভাগের কোনো জবাবদিহি নেই। স্থানীয়দের দেওয়া খবরে কলারোয়া সদরের টিএনটি কার্যালয়ের সামনে ও কলাগাছি মোড়ে গেলে দেখা যায় সড়কের পিচগুলো রুটির মতো উঠে যাচ্ছে। নির্মাণাধীন সড়কে ঠিকাদার বা সওজ বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি সওজের কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
এদিকে কলারোয়া-সরোষকাটি সড়কের নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম ফোন রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, কলারোয়া সদর থেকে বসন্তপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে ৯০ লাখ টাকার কার্পেটিং সিলকোটের কাজ চলছে। মূলত সড়কটি চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যারা অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন, তারা চাঁদা চেয়েছিলেন। সেটি না পেয়েই এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তবু অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই