জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাস ও পণ্যবাহী পরিবহন মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। ফলে শুক্র ও শনিবার যানবাহন চলাচল করেনি। সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ দুদিন সড়কপথে যান চলাচল না করায় চাপ বেড়েছে আকাশপথে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে গত দুদিন ১০ ভাগ যাত্রী বেশি যাচ্ছেন আকাশপথে। অনেক ফ্লাইটের টিকিটও মিলছে না।
বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, এমনিতেই বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারে ফ্লাইটে যাত্রী বেশি থাকেন। কিছু সংখ্যক সিট ফাঁকা থাকে। তবে সড়কপথে যেতে না পারায় অনেকেই প্লেনে গন্তব্যে ফিরছে। এ কারণে আকাশপথের প্রায় সব টিকিটই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
তারা জানায়, এই তিন দিন মূলত কক্সবাজার ও সিলেটের টিকেটের চাপ একটু বেশি থাকে। তবে এই সপ্তাহে প্রতিটি রুটের টিকিটই প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকে বাড়ি ফেরার জন্য শুক্র-শনিবারকে বেছে নেয়। সপ্তাহের এই দিনগুলোতে যাত্রীর চাপ একটু বেশি থাকে। তবে ধর্মঘটের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকেই টিকিটের জন্য যোগাযোগ করছেন। ফলে প্রতি রুটেই যাত্রী বেড়েছে।’
নভোএয়ারের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মেসবাহ উল ইসলাম বলেন, ‘শুক্র-শনিবারে এমনিতেই ট্রাফিক হাই থাকে (যাত্রী বেশি)। তবে ধর্মঘটের কারণে সব রুটেই ৫ থেকে ১০ ভাগ যাত্রী বেড়েছে।’
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, বরিশাল ও রাজশাহী রুটে প্রতিদিন প্রায় ১১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই