স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ-তরুণী ও যুবসমাজকে প্রস্তুত করে তোলার উদ্দেশ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজে আগামী বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তার পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের চালিকাশক্তি হিসেবে তরুণ-তরুণী ও যুবসমাজকে প্রস্তুত করে তোলার উদ্দেশ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজে আগামী বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ কর্মক্ষম এবং কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ২৮ শতাংশ তরুণ। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা তারুণ্যের শক্তিকে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির অন্যতম উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
আগামী দিনগুলোতে তরুণরাই হবে উন্নত বাংলাদেশের পথে আমাদের স্মার্ট অভিযাত্রার অন্যতম সারথি। তরুণ-তরুণীসহ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ-দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক, দক্ষ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী মানবসম্পদে রূপান্তরের অব্যাহত ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ আমাদের উৎপাদন শক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। শিল্পখাতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবন সক্ষমতার বিকাশে আমরা মৌলিক দক্ষতা থেকে ধীরে ধীরে মধ্যম ও উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার দিকে মনোযোগী হব।
দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ বাড়ানো হবে। প্রথাগত কর্মসংস্থানের ধারণা থেকে বের হয়ে এসে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্নমুখী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগে নিজেদের নিয়োজিত করবে, নিজের ও সমাজের জন্য পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিবে, আমাদের তরুণদের মধ্যে আমরা সে ধরনের প্রণোদনার সঞ্চার করতে চাই।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, একইসঙ্গে, তৈরি করে দিতে চাই অনুকূল প্ল্যাটফরম। সাধারণ, কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও জীবনব্যাপী শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ই-লার্নিং প্ল্যাটফরমে অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ তৈরি ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ও ইনোভেশন সেন্টারের মাধ্যমে ৮০ হাজার তরুণ-তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করব। স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন উপযোগী অবকাঠামো গঠন ও সুবিধাদি প্রদান করা হচ্ছে।