স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি হারানোর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদাৎ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) শাহ্ আলমকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন যুগ্ম সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) আহসান কবীর ও উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, ‘যে ১৭টি নথি সরানো হয়েছে এগুলোর বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত। এগুলোতে শুধু প্রশাসনিক আদেশ দেয়া হয়। আমার মাথায় আসছে না প্রশাসনিক আদেশ নিয়ে তারা কী করবে। তবে যারা এই নথি সরিয়েছে তারা চাবি দিয়ে তালা খুলে নথি নিয়েছে। যেহেতু চাবি দিয়ে তালা খোলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের ভেতরের লোকজনের সহযোগিতা থাকতে পারে। আমরা চাচ্ছি যেকোনো মূল্যে এই ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন হোক। আমরা এই ঘটনার আসল আসামি ধরতে চাই। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ধরনের ডকুমেন্ট দেয়া হচ্ছে। রোববার থেকে এই তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।’
ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে শাহবাগ থানায় বৃহস্পতিবার একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার আরটিভি নিউজকে জানান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষে (ভবন নং-৩, কক্ষ নং-২৯) ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ সরদার এবং সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকার হেফাজতে থাকা ১৭টি ফাইলের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/ এস আই