দীর্ঘ চার মাস পর অপেক্ষার অবসান হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারলে দর্ঘি প্রায় চার মাস ঘরবন্দী ছিলেন জাতীয় ক্রিকেটাররা। অবশেষে ব্যক্তিগত ঐচ্ছিক অনুশীলনের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুমোদন পেয়েছেন তারা। আজ রবিবার থেকে সে অনুমোদন স্বাপেক্ষে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন তিন জাতীয় ক্রিকেটার স্পিন অল রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ, উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যঅন নুরুল হাসান সোহান ও আরেক স্পিন অল রাউন্ডার মেহেদী হাসান। সকাল ৯টা এ অনুশীলন শুরু হয়। তিন ক্রিকেটারই আলাদা আলদা ভাবে জিমে সময় কাটান ও মাঠে রানিং করেন। তবে ক্রিকেটারদের এদিন ইনডোর ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়নি।
সকাল ৯টার কিছু পরে প্রথমেই মাঠে আসেন মেহেদী হাসান। তিনি মাঠে রানিং করেন প্রায় এক ঘন্টা। এর পরেই আসেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারাও আলাদা ভাবে এক ঘন্টা করে মাঠে রানিং ও পরে এক ঘন্টা করে জিমে সময় কাটান। সোহানের সাথে তার ব্যাক্তিগত ট্রেইনার রাসেলও মাঠে ছিলেন। তবে সব সময়ই নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে থাকতে দেখা গেছে তাদের। মুখে ছিলো মাস্ক পরিহিত।
ক্রিকেটারদের এই অনুশীলনে কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে বিসিবির গাইড লাইন অনুযায়ী স্বাস্থবিধি। মাঠে রানিং সেশন চলাকালিন সময়ে গ্রাউন্ডসম্যানদেরও মাঠে থাকতে দেয়া হয়নি। সংবাদ মাধ্যমকেও ছবি তুলতে হয়েছে গ্যালারি থেকে। কোন ক্রিকেটারের অনুমোদন ছিলো না সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার।
বিসিবি থেকে যে সিডিউল পাঠানো হয়েছে খুলনায় অনুশীলনের সেখানে অবশ্য মেহেদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের নাম ছিলো। মেহেদী হাসান মিরাজের নাম ছিলো না। তবে মিরাজ জানিয়েছেন, বিসিবিকে জানাতে তার একটু দেরি হয়েছিলো বলে সিডিউলে তার নাম আসেনি। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি অনুশীলনের আগ্রহ প্রকাশ করে বিসিবিতে মেইল করলে তাকেও অনুমোদন দেয়া হয়।
মাঠে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার সুযোগ না থাকলেও পরে নুরুল হাসান সোহান ফোনে বলেন, আলহামুদিলল্লাহ, প্রথম দিনটা ভালোই কেটেছে। এর আগে যতটুকু প্রাক্টিস করেছি সেটা যতটা কাজে লাগবে এখন কিন্তু আরও বেশী করে কাজে লাগাতে পারবো। নিজ পরিবেশে মাঠে ফেরার তৃপ্তিটা অন্যরকম। আনন্দ লাগছে প্রচন্ড।
মনে হচ্ছে যেন, সব কিছুই যেন ফিরে পাচ্ছি।’’ মাঠে খেলা ফেরার আগে এই সময়টাকে সবথেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন করছেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান সোহান। বলেন, ‘‘যখন খেলা মাঠে ফিরবে, তখন সবথেকে বেশী যে জিনিসটা ক্রিকেটারদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে সেটা হচ্ছে ফিটনেস। সেই ফিটনেসটা ঠিক রাখার জন্য এই সময়টা কস্ট করার বিকল্প নাই।
খুলনা গেজেট/এএমআর