খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী : রায় কবে জানা যাবে আজ

‘স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির দায় শুধু সরকারের নয়, সবার’

গেজেট ডেস্ক

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির দায় শুধু সরকারের নয় এই দায় সবার, জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে সৎ ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

এসময় নতুন মহাপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, ‘দুর্নীতির কথা যদি বলেন দায় আমাদের সবার। আমরা যদি শুধু সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে ধরি, সেটা বোধহয় সবচেয়ে বোকামি হবে। আমরা সবাই এই দুর্নীতির অংশ। আমরা যদি ব্যক্তিগতভাবে সৎ না হই, কারও পক্ষে সম্ভব না কিছুতেই। বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্বাস্থ্যের যে অবস্থা এখন আছে, যা এই অতিমারির ক্ষেত্রে আমরা ফেইস করছি সেগুলোকে দূর করার চেষ্টা করা।’

প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা নিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন তার মর্যাদা রাখতে সচেষ্ট থাকবেন জানিয়ে রবিবার অফিস শুরু করে সংবাদকর্মীদের কাছে কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে জানান সার্জারির ডাক্তার আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি স্থলাভিষিক্ত হন পদত্যাগী মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের। খুরশীদ আলম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি কুমিল্লা মেডিক্যালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি কিছুদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজেও চাকরি করেন। ২০১৮ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে যোগ দেন তিনি।

এর আগে, স্বাস্থ্য অদিপ্তরের বিভিন্ন অনয়িম আর দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২১শে জুলাই পদত্যাগপত্র জমা দেন আবুল কালাম আজাদ। এর দুইদিন পর বৃহস্পতিবার তার চুক্তি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই নানা কারণেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ডা. আজাদ।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ব্যর্থতার পাশাপাশি কেনাকাটা ও নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি সামাল দিতে না পারাসহ নানা অব্যবস্থাপনার দায়ে ডা. আজাদকে নিয়ে সরকারি মহলসহ দেশব্যাপী সমালোচনা চলছিলো। লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি ও ভুইফোড় সংস্থা জেকেজিকে দিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা অনুমতি দেয়ায় বিভিন্ন মহল থেকেই তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর মধ্যেই আগামী বছরের ১৫ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন ডা. আজাদ।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!