শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, বাঙালী জাতি দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের এইদিনে কাঙ্খিত বিজয় অর্জন করেছে। আমরা পেয়েছি একটি সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল সবুজ পতাকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় এ স্বাধীনতা। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেন। মাত্র ১০ মাসে তাঁর নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে আমাদের সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৭৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ অতিক্রম করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাহেন্দ্রক্ষণ একদিনে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে এই জাতির ঘাম ঝরানো সংগ্রাম। সেই সংগ্রামের মহান সেনাপতি হিসেবে কাউকে বিবেচনা করতে গেলেই উচ্চারিত হবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু মানেই আমাদের নতুন অস্তিত্ব। ৫৫ হাজার বর্গমাইল জুড়েই তাঁর অস্তিত্ব বিদ্যমান।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন, আর তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়শীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। আমাদের এ উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। স্বাধীনতা ও মু্িক্তযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনা ঘোষিত আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন।
এসময়ে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি এ্যাড. রজব আলী সরদার, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরিনা রহমান বিউটি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, চ. ম. মজিবর রহমান, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন শেখ, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর হাসান ইফতেখার চালু, মুন্সি মো. মোতালিব মিয়া, মো. শিহাবউদ্দিন, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, কাউন্সিলর রাফিজা আক্তার মিরা, কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, এ্যাড. জেসমিন পারভীন জলি, শেখ ফারুক হোসেন তুরান, আলী আকবর মাতুববর, শেখ মো. আরিফুজ্জামান, আঞ্জুমনোয়ারা, পারভিন ইলিয়াস, নুর জাহান রুমি, জেসমিন সুলতানা শম্পা, আলেয়া সাঈদ, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, বলাকা রায়, মামনুরা জাকির খুকুমনি, মনোয়ারা বেগম, রোকেয়া রহমান, মেহজাবিন খান, এ্যাড. শাম্মী, কবিতা অসিরন, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নিপা, ওসিরন খাতুন কবিতা, শিউলি সেরনিয়াবাত, মোর্শেদা খানম, আরমিন সুলতানা জুই, দিপ্তী রায়, ফেরদৌস আলম রিতা, রেজওয়ানা প্রধান, রেখা খানম, এ্যাড. রোজী, লাকি আক্তার, মো. জিলহজ্ব হাওলাদার, জহির আব্বাসসহ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকাল ৭টায় গল্লামারী স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। দলীয় কার্যালয়ে আলোকসজ্জা করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম