স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া আমতলার দীনেশ কর্মকারের বাড়ি সংলগ্ন বধ্যভূমিতে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে তাতেই ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে সাতক্ষীরাবাসী। সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির নিরন্তর প্রচেষ্টায় জেলা প্রশাসন এই অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) অস্থায়ী স্মৃতিসৌধেই পুষ্পস্তবক অর্পন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটি, ব্যঘ্রতটসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পরে বধ্যভূমি সংলগ্ন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মশিউর রহমান মশু ও সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ দাস।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লাইলা পারভীন সেজুতি প্রমুখ।
সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির নেতৃবৃন্দ এসময় ১৯৭১ এর গণহত্যা দিবসের ৫০ বছর পার হলেও অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর জানান, কাটিয়া আমতলার দীনেশ কর্মকারের বাড়ি সংলগ্ন বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হলেই নির্ধারিত নকশা অনুযায়ী স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএ