খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘৫২ সাল একদিনে আসেনি। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এক একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়। ১৯৫২ সালে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে ভিত্তি রচিত হয়, তা পরবর্তীকালের সকল ঘটনা প্রবাহকে প্রভাবিত করে। ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-র ছয় দফা, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে একুশের চেতনা তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভূমিকা পালন করেছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল বাঙালির জাতীয় চেতনা এবং বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের। মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাঙালিয়ানার জোয়ার ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির মধ্য দিয়েই এসেছে।
তিনি বলেন, একুশ আমাদের চেতনার বহ্নিশিখা। স্বাধীনতার মূল উৎস ও চেতনা ছিলো একুশ। একুশের উৎস থেকে জেগেছিল গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুই বাংলা ভাষাকে প্রথম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, বাংলা ভাষা পৃথিবীর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ভাষা হোক। বাংলা ভাষায় সংবিধান প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বাংলায় বক্তব্য দিয়ে বিশ্বসভায় বাংলাকে তুলে ধরেন। একুশে ফেব্রুয়ারি আজ দেশের গ-ি পেরিয়ে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আর উন্নতির এই সোপানে এগিয়ে যেতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ যেমন প্রেরণা জোগায়, ঠিক একইভাবে প্রেরণা দেয় আমাদের ভাষা। কারণ আমরাই সেই জাতি, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভাষা দিবসে প্রভাত ফেরি শেষে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, সহ-সভাপতি এ্যাড. রজব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মো. শাহজাদা, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, কামরুল ইসলাম বাবলু, শেখ নুর মোহাম্মদ, অধ্যা. রুনু ইকবাল, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, এস এম আকিল উদ্দিন, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, আইরিন চৌধুরী নীপা, আব্দুল হাই পলাশ, চ.ম মুজিবর রহমান, বাদল সরদার বাবুল, জামিরুল হুদা জহর, মঈনুল ইসলাম নাসির, মো. জাহিদুল হক, ফেরদৌস হোসেন লাবু, এ্যাড. ফারুক হোসেন, ইউসুফ আলী খান, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. জাকির হোসেন, আজম খান, অহিদুজ্জামান পলাশ, মো. শিহাব উদ্দিন, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, কাউন্সিলর রোকসোনা কালাম লিলি, এ্যাড. তারেক মাহমুদ তারা, নূরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, কাজী কামাল হোসেন, কবীর পাঠান, শওকত হোসেন, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, জেসমিন সুলতানা শম্পা, পলাশী আক্তার, শবনম সাবা, আফরোজা জেসমিন বিথী, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, বলাকা রায়, রেজওয়ানা প্রধান, আঞ্জুমানোয়ারা, নাছরিন আক্তার, জিলহজ্ব হাওলাদার, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেস, ওমর কামাল সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে ১২.০১ মিনিটে শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পন করা হয়। সকাল ৭.১৫ মিনিটে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। সকাল ৭.৩০ মিনিটে দলীয় কার্যালয় হতে প্রভাত ফেরি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ হাদিস পার্কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ করা হয়।