প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা মহামারি বহুমুখী বৈশ্বিক সমস্যা তৈরি করেছে এবং বৈশ্বিকভাবেই এটির সমাধান করা দরকার। এই সঙ্কট মোকাবিলার জন্য একটি সু-সমন্বিত রোডম্যাপ প্রয়োজন। রাজস্ব প্রণোদনা, কনসেশনাল আর্থিক সহায়তা এবং ঋণের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলডিসি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বেইল আউটের হাত থেকে রক্ষার জন্য জি-৭, জি-২০, ওইসিডি দেশগুলো, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোকে অবশ্যই উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত, অথচ অদ্যাবধি অপূরণকৃত কোটামুক্ত বাজার সুবিধা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হবে।’
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আসেম (দ্য এশিয়া-ইউরোপ মিটিং) অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের ১৪তম সভায় ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার কারণে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এবারের সভার আয়োজক বাংলাদেশ। এতে সভাপতিত্ব করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি বিশ্ব শিগগিরই কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে। বিশ্বের সকল দেশের জন্য বিশেষত এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) এবং উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। উন্নত দেশগুলো, এমডিবি এবং আইএফআইএস এক্ষেত্রে উদার সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। আমরা অতীতে শিখেছি যে, বিচ্ছিন্নতা নয় বরং সহযোগিতা যেকোনো সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর চতুর্দশ আসেম অর্থমন্ত্রী সভার আয়োজন করতে পেরে বাংলাদেশ অত্যন্ত আনন্দিত। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করায় আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি একটি বৈষম্যহীন, সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমি তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি অত্যন্ত খুশি যে, এ সঙ্কটময় সময়ে আপনারা বিনম্র চিত্তে এবং সহমর্মিতা প্রদর্শনপূর্বক এ সভায় যোগ দিয়েছেন।’
খুলনা গেজেট / এমএম