প্রতি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ফলে দেশের বাজারে ভালো মানের সোনা প্রতি ভরির দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ৭৩ হাজার ১৬৮ টাকা।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন এ দর বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রার্দুভাব ও বিশ্ব অর্থনীতির নানা জটিল সমীকরণে মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। দেশীয় বুলিয়ন মার্কেটেও পাকা স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাজুসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) প্রতি এক হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হলো। তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৭৩ হাজার ১৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের সোনা ৬৯ হাজার ৯৮৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬১ হাজার ২৩৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯১৩ টাকা।
সোনার মূল্য কমলেও রূপা আগের নির্ধারিত দাম বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রূপার ভরি এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এর আগে, সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর ভরিতে দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ১৩ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছিল। আজ পর্যন্ত ওই দরেই সোনার অলংকার কেনাবেচা হয়। এ হিসাবে মঙ্গলবার ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনার অলংকার বিক্রি হয়েছে ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৭১ হাজার ১৫০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬২ হাজার ৪০২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৫২ হাজার ৮০ টাকা।