গ্রেফতারকৃত আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাথে তার বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ দাবি জানান তারা।
এছাড়া হেফাজতের আলেমদের মামলা প্রত্যাহার ও আর কোনো ধরনের হয়রানি না করা এবং সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির হত্যা সংক্রান্ত মামলা বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। হেফাজতের নেতাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সোমবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান হেফাজতের আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি। এ সময় হেফাজতের সাবেক আমির মরহুম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর একান্ত সহকারী মাওলানা শফিউল আলম তাদের সফর সঙ্গি থাকলেও তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠককালে উপস্থিত ছিলেন না।
হেফাজত নেতাদের বৈঠকের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠকে শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বের হয়ে যান। তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের সাথে কোনো কথা বলেননি।
এ ব্যাপারে পরে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর সাথে টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আলেমদের মুক্তির দাবি জানান হেফাজত আমির। এছাড়া মামলা প্রত্যাহার ও আর কোনো ধরনের হয়রানি করার জন্যও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির হত্যা সংক্রান্ত মামলা বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন জুনাইদ বাবুনগরী। এরপর তিনি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় মহাসচিবের তত্ত্বাবধানে থাকা মাখুজুনুল উলুম মাদরাসায় বিশ্রাম নেন। এরপর সেখান থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যান।
জুনাইদ বাবুনগরী বর্তমানে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকার বারডেম হাসপাতালে তার ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ৪ মে নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে হেফাজতের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকে দেশজুড়ে গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়।
এরও আগে ১৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছিলেন হেফাজতের নেতারা।
খুলনা গেজেট/ টি আই