ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মইনুল হাসানকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওই কর্মকর্তাকে কুষ্টিয়া সরকারি হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শামিমা (৩৬) নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি ভেড়ামারা মধ্যবাজার এলাকার আবু বকরের মেয়ে।
সোমবার বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শামিমার দাবি, “২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ভালোবেসে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা মইনুল হোসেন তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করেন না এবং দীর্ঘদিন ধরে তাকে অবহেলা করে আসছে। যার ফলে তার সাথে ব্যাংক কর্মকর্তার দন্দ্ব চলছিলো। এ দ্বন্দের জের ধরে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি শুরু হলে তার গলায় ছুরি ধরে ব্যাংক কর্মকর্তা। নিজের আত্মরক্ষা করতে গিয়ে উল্টো ছুরি লাগে ব্যাংক কর্মকর্তার গলায়। এসময় তার হাত কেটে যায়।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে দায়িত্বরত নার্স মমতাজ আক্তার বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। আমরা তার গলা ব্যান্ডেজ করে দেই। তার অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ব্যাংক ম্যানেজার হাসিবুজ্জামান হাসিব বলেন, মামলার প্রক্রিয়া চলমান। ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী আসলে থানায় মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, ঘটনাটি শুনে আমরা সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যায় এবং মহিলাকে আটক করি। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ বা মামলা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল