সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম. জি. আজম ওই আদেশ দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রবিউল ইসলাম । তিনি সাতক্ষীরার সদরের রসুলপুর এলাকার বিল্লাল গাজীর ছেলে।
গৃহবধূর নাম রাবেয়া খাতুন। যশোরের কেশপুরের আগরহাটি এলাকার শহিদুল বিশ্বাসের মেয়ে তিনি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৪ সালে রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে আসামি রবিউল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা রাবেয়াকে নির্যাতন করতেন। ২০১৪ সালের ৬ জুন রাত ১১টার দিকে রবিউলের প্রতিবেশী আজিজ মিস্ত্রীর মাধ্যমে রাবেয়ার বাবা শহিদুল জানতে পারেন তার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি ভোররাতে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরে আসেন। মেয়েকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, রাবেয়ার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। শহিদুল বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৭ জুন সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় রবিউলসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিচারক ১ নম্বর আসামি রবিউলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর চার আসামিকে আদালত খালাস প্রদান করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড