চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় খাদিজা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তদের আটকের দাবিতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিরও ঘটনা ঘটে। পরে ওসিসহ অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত খাদিজা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি গ্রামের কৃষিক্লাব পাড়ার বিকুর মিয়ার মেয়ে এবং একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের মনোকষা গ্রামের আজিজ আলীর ছেলে আলমের স্ত্রী। তারা আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। বছর খানেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন তারা। তবে আলম খাদিজা খাতুনের দ্বিতীয় স্বামী। ফাতেমা খাতুন (১০) নামের খাদিজার প্রথম পক্ষের একটি মেয়ে রয়েছে।
নিহত খাদিজার ভাই আব্দুস সামান গনমাধ্যমে বলেন, খাদিজার সঙ্গে তার স্বামী আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই ঝগড়া করতো। এর জের ধরে পরিবারের সবাই মিলে আমার বোন খাদিজাকে নির্মমভাবে হাত-পা ভেঙে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।
খাদিজা খাতুনের মা আশুরা বেগম বলেন, আমার মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এক বছর আগে আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় খাদিজার। বিয়ের পর থেকে ছোটখাটো বিষয়ে মেয়েকে মারধর করতো স্বামী আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা। আজ রাতে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তারা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গনি মিয়া গনমাধ্যমকে বলেন, সকালে আলম নিজেই আমাদেরকে জানান পাশের ঘরে তার স্ত্রী ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাদিজার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের স্বামী আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটু উত্তেজিত হয়েছিল। এ সময় তাদের (খাদিজার পরিবারের সদস্যরা) আবেগ কাজ করছিল, এটা স্বাভাবিক। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
খুলনা গেজেট/ এএজে, টিএ