স্ত্রীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে স্বামীকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমান, অনাদায়ে আরও ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে এ মামলার অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিল পলাতক ছিল। সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনাখালি গ্রামের কিশোরী মোহন মন্ডলের ছেলে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে শ্যামনগরের চুনাখালি গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ধর্মান্তরিত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার খড়িতলা গ্রামের আরশাদ আলী শেখের মেয়ে আফরোজা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শচীন্দ্রনাথ মন্ডলের নাম হয় ইব্রাহীম খলিল। ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় সুশান্ত মন্ডল বাচ্চু, সুশীত ওরফে বড়চুন্নু, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ ও নিমাই বাগদীর সহযোগিতায় ওই বছরের ৩০ মে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ইছামতী নদী পার করে আফরোজাকে ভারতে নিয়ে যায়। পরে তাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে চলে যায় সে। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শচীন্দ্রনাথ মন্ডলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আফরোজা কালিগঞ্জ থানায় একটি মানবপাচারের মামলা (জিআর-১৭১-০৯ কালিঃ)দায়ের করেন।
পুলিশ সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লস্কর জায়াদুল হক এজাহারভুক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা নিমাই বাগদীকে পুলিশ ২০২২ সালের ডিসম্বের মাসে গ্রেপ্তার করে। মামলা চলকালীন ১০জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু।
খুলনা গেজেট/ এসজেড