খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১১ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  হিযবুত তাহরীরকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করল ভারত

স্কুল জুতা না পরায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার অ‌ভিযোগ

মোংলা প্রতিনিধি

স্কুল ড্রেসের সাথে নির্ধারিত জুতা পরে না আসায় মোংলার সেন্টপলস্ স্কুলের ক্লাস থেকে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় স্কুলের ক্লাস রুমে প্রবেশ করলে প্রধান শিক্ষক এড্রজয়ন্ত কোস্তার নির্দেশে ক্লাশ শিক্ষক সব ছাত্রদের ড্রেস ও জুতা চেক করেন।

এসময় সবার গায়ে স্কুল ড্রেস থাকলেও অনেক ছাত্রদের পায়ে জুতা ছিলো বিভিন্ন রংয়ের। এসময় ক্লাশ শিক্ষকরা ড্রেসের সাথে মিল না থাকা সব ছাত্রদের শ্রেণিকক্ষ ও স্কুল বাউন্ডারী থেকে বের করে দেন।

ক্লাশ থেকে বের করে দেয়া ছাত্র- ছাত্রীরা কেউ কেউ বাড়ী ফিরে গেলেও কেউ কেউ রাস্তায় ঘুরতে দেখা গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এ আনোয়ারুল কুদ্দুস ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাশে ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ক্লাশ শুরুর এক ঘন্টা পর গেটের বাহিরে ঘুরতে থাকা কয়েকজন ছাত্র- ছাত্রীদের ক্লাশে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও বাকিরা মনোকষ্টে বাড়ি চলে যান।

এবিষয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী নীরা, নাবিল, রাইসা, চাঁদনী ও হৃদ্দি বলেন, ‌‌‌‍‘আমাদের অভিভাবকদের সব বিষয়ে স্কুল থেকে শিক্ষকরা ফোন করে বলেন। কিন্তু সু পরে আসার বিষয়টিতো আগে তারা বলেননি। আজ সু পরে আসিনি বলে আমাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে’।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক এড্রজয়ন্ত কোস্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়নি, সু পরে আসার নির্দেশ দিয়েছি। ইউএনও স্যার আসছেন আপনার সাথে পরে কথা বলছি-বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক জানান, নতুন প্রধান শিক্ষক যোগদান করার পর নিজের ইচ্ছেমতো স্কুলের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। তারা আরও জানান, করোনাকালীন মানবিক সব কিছু তিনি ভুলে গেছেন।

ইউএনও কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘একটা অভিযোগ শুনে আমি ওই স্কুলে যাই। যা বলার প্রধান শিক্ষককে বলে এসেছি। এখন সমস্যা নাই’।

জুতা পরে না আসা ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক নিজাম উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার যে নিয়ম করে স্কুল খুলে দিয়েছে সেভাবেই তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকদের এমন আচরনে শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্কুলে যাবে, এলোমেলো সিদ্ধান্তে তাদের পড়াশোনার ওপর থেকে মন উঠে যাবে। মোংলায় এই একটি স্কুলই অযাচিত সব নিয়ম করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গ্যাড়াকলে ফেলে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!