খুলনায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি প্রদান করেছে। তাদের জবানবান্দি রেকর্ড করেন খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম। জবানবান্দি শেষে আদালত তাদের ৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু বলেন, সোমবার দুপুরে থানার পুলিশ জানতে পারে মদিনাবাদ এলাকার একটি বাড়িতে এক স্কুল ছাত্রীকে আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করছে দুর্বৃত্তরা। সংবাদ জেনে সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরে কিশোরীর বন্ধু মারুফের সহায়তায় আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়। ওই দিন গভীর রাতে দৌলতপুর থানার বিভিন্ন এলকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মেজবাহ উদ্দিন, ইমন মোল্লা ও শিমুল চৌকিদারকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদানের কথাও বলে তারা ৩ জনই। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে উপস্থিত করা হয়। সন্ধ্যায় তাদের জবানবন্দী শেষ হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের ৩ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাহাঙ্গীর বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে নিয়ে বন্ধু মারুফ প্রথমে দৌলতপুর থানায় যায়। ঘটনাস্থল তাদের থানায় না হওয়ায় তাদের খালিশপুর থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাত ৩ টার দিকে আসমিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। তবে আসামিরা জবানবন্দিতে কিশোরীর বন্ধু মারুফকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। আমরা তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড