সৌদি মরুভূমির গন্ডি পেরিয়ে কাঁচা খেজুর এখন খুলনায়। এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েকদিন ধরে নগরীর অলিগলিতে ভ্যানে করে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। প্রতিকেজি ছয়শ’ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ফলটি দেখতে খয়েরি রং এর। খেতে খুব সুস্বাদু। হালকা কষ প্রকৃতির। এক একটি খেজুরের ওজন ৩০-৩৫ গ্রাম।
গতকাল দুপুর তিনটার দিকে খুলনা সদর থানার সামনে ভ্যানযোগে এ পণ্যটি বিক্রি করছিলেন মো: শাহআলম নামে এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি একজন ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা। ১২ মাস মৌসুমি ফলের ব্যবসা করেন। সহযোগী হিসেবে আছে আরও দু’জন। গত দু’দিন ধরে বিক্রি করছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে। বাজারে এতো ফল থাকতে এটি বিক্রি করছেন কেন? উত্তরে জানান, খেজুর বিক্রিতে কোন লস নেই। ফরমালিনের কোন বিষয় নেই। নষ্ঠ হওয়ারও কোন ভয় নেই। স্বল্প পুঁজিতে বেশী লাভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সেলিম নামে আরও এক বিক্রেতা জানান, তিনি এর আগে এক চালান খেজুর এনেছেন। দু’দিন আগে একশ’ কেজি ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খুলনায় এনেছেন। ৫০ কেজি বিক্রি হয়েছে। বাকী আছে কিছু। এগুলো শেষ হলে আবারও আনবেন। ১৬ বছর ধরে তিনি ফলের ব্যবসা করছেন। অন্যান্য মৌসুমি ফলের ব্যবসায় লস করলেও এটি বিক্রিতে তার লাভ হচ্ছে বেশ। কাঁচা খেজুর বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
সৌদি প্রবাসী ছিলেন ক্রেতা সাইফুল্লাহ সুজন। সেখানে অবস্থানকালে কাঁচা খেজুর খেয়েছেন। পাঁচ বছর হয়েছে দেশে এসেছেন। ফলটি দেখে তার বেশ লোভ হল। তাই তিনি এক কেজি ক্রয় করেছেন। যদিও কিছুটা কষ প্রকৃতির, তবে স্বাদে খুব মিষ্টি।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুখ হোসেন জানান, ফলটি নতুন। আমরা সাধারণত খোরমা খেয়ে থাকি। কাঁচা খেজুরের স্বাদ কখনও নেওয়া হয়নি, এবার সে সুযোগ হল।
খুলনা গেজেট/এনএম