বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বর্তমান সভাপতি সুলতাল সালাহ উদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানসহ বিভিন্ন মামলায় শতাধিক নেতাকর্মীকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (২০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিশিরাতের ভোটডাকাত সরকারকে আবারও পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা নবায়নে একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করতে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগে দায়েরকৃত গায়েবী মামলায় রায় দিচ্ছে। এ রায় দেশবাসী ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশের দায়েরকৃত গায়েবী মামলায় বিএনপি নেতা সোহেল-হেলাল-সফু-নীরব ও টুকুসহ বিভিন্ন আদালতে শতাধিক নেতাকর্মীকে সাজা ঘোষণা করে লুটেরা সরকারের মনোরঞ্জন করেছেন। বাংলাদেশের জনগন খুব ভালো করেই জানেন, আইন-আদালত, পুলিশ-প্রশাসন, সচিবালয়-নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান সরকার আওয়ামী দলীয়করণ করেছে। প্রতিহিংসা পরায়নে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দমন-নিপীড়নে বিশ্বরেকর্ড করেছে শেখ হাসিনা। যার সবচেয়ে বড় উদহারণ-তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু কারাবন্দী করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি- বিদেশে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করেছে সরকার। সীমাহীন লুটপাট, খুন-গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার ও নির্বাচন কমিশন দিয়ে সাজানো-পাতানো আরও একটি নির্বাচনকে বাঁধামুক্ত করতেই বরাবরের ন্যায় আদালতে ব্যবহার করছে সরকার। কোনো কিছুতেই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না, ইনশাআল্লাহ। দেশের তরুণ-যুবক ও ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগন স্বতস্ফূর্তভাবে বিএনপি ঘোষিত হরতাল-অবরোধ শান্তিপুর্ণভাবে সমার্থন দিচ্ছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু, নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমুখ।