বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা। এবারের নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী নিপুণ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন আপিল বোর্ডের কাছে।
নিপুণের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের বিষয়ে দিকনির্দেশনা চেয়েছেন সোহান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তবে ওই চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার আপিল বোর্ডের নেই বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী তফসিলে ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করে ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার কথা উল্লেখ আছে। সে হিসাবে আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার পর আপিল বোর্ডের কোনো এখতিয়ার নেই মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার। সোহানুর রহমান সোহান আর মোহাম্মদ হোসেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন।’
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জায়েদ খান। ব্যারিস্টার মুজিবুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ নোটিশ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক, আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনকেও পাঠানো হয়েছে।
আইনি নোটিশের কপি সময় নিউজে সংরক্ষিত আছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন আর আপিল বোর্ড নিয়োগ করেছিলাম। আমাদের নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর থেকে আপিল বোর্ড মৃত। তাদের মেয়াদ শেষ। তারা যে চিঠি দিয়েছে, তার আইনগত ভিত্তি নেই।’
জায়েদ খানের পাঠানো নোটিশের বিষয়ে জানতে সোহানুর রহমান সোহানকে ফোন করলে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি দেশীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার হাতে একটি আইনি নোটিশ এসেছে। এটা নির্বাচনকে নিয়েই। এখন আমাকে দেখে বুঝতে হবে আসলে কী বলা হয়েছে এতে।’
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। অন্যদিকে নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। এরপর নোট দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ করেছেন এ নায়িকা।
খুলনা গেজেট/এএ