সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, নয়াপল্টনেই বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রিজভী এসব কথা বলেন। এছাড়া সমাবেশ সফলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে খুব শিগগিরই স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বিএনপিকে ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণসমাবেশ করতে ডিএমপিতে বরাবর গত ২০ নভেম্বর আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি নয়াপল্টনের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার ডিএমপির চিঠিতে বলা হয়েছে, নয়পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করলে যানজট ও নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে বিধায় অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। ডিএমপির চিঠিতে, সমাবেশের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর (শনিবার) বেলা ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সময় উল্লেখ করা হয়েছে। সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে লোকজন সমাবেশস্থলে আসতে পারবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বর্তমান গণবিরোধী সরকার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। যেটা তাদের চিরচেনা অভ্যাস। কিন্তু তা সফল হবে না। ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ হবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন করছে। দেশের ১০ বিভাগের ভেতর ৮টিতে বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ হবে; এরপর ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগে হবে।’
তিনি বলেন, সেই পুরোনো গায়েবি মামলা ও নিজেরাই ষড়যন্ত্র করে ককটেল বিস্ফোরণ করে, গাড়ি ভাঙচুর করে। আবার ককটেল বিস্ফোরণও হয়নি, তবুও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে অনেক বিএনপি নেতাকর্মী নামে। যারা এলাকায় নেই তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই মিথ্যা মামলাগুলো দেওয়ার উদ্দেশ্য আগের ন্যায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা। এই দূরভিসন্ধিমূলক চক্রান্ত এবং এই ঘৃণ্য মাস্টারপ্ল্যান।’