আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আজ (শনিবার)। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন হবে। সকাল থেকেই সম্মেলনস্থলে আসছেন নেতাকর্মী, কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা।
সকাল ৭টায় সম্মেলনে ঢোকার গেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও কালীমন্দির গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন।
যশোরের ঝিকরগাছা থেকে আসা কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে ঢাকায় এসেছি। শনিবার সকাল ৭টায় টিএসসির দিকের গেট দিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশের জন্য এসেছি। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ কাজ করছে।
ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলের আশেপাশে অবস্থান করছেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসার পর আধঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।
এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং লাখেরও বেশি নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সম্মেলন ঘিরে যান চলাচলে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের ১১টি পয়েন্টে সড়ক দিয়ে প্রবেশ বন্ধ ছাড়াও ডাইভারশন পয়েন্টের বিস্তারিত জানিয়েছে হয়েছে রমনা ট্রাফিক বিভাগ।