বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সকল কর্মকান্ড প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের বিনোদন হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি নির্ভর।
কিশোর থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউই এই প্রযুক্তির বাইরে নয়। প্রযুক্তির কল্যাণে আজ সবারই হাতে একটি করে স্মার্ট ফোন দেখা যায়। আর এই ফোনের অধিকাংশ সময় আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় করি। সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, লাইকি অ্যাপ ইত্যাদি।
আগে টেলিভিশনে খবর দেখার জন্য মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতো। আর এখন চাইলে আপনি ইউটিউবে যেকোনো সময় দেখতে পারেন। শুধুই কি তাই, মুভি,গান, বিনোদনসহ আরও কতো কিছু। এখন টেলিভিশনের তুলনায় ইউটিউবে দর্শক বেশি আর ফেসবুকে তো বিনোদনের পসরা।
সময়ের বিবর্তনে, কালের আবর্তনে বিনোদনের ধরণও বদলে যেতে পারে কিন্তু বিনোদন সুস্থ হওয়া বাঞ্ছনীয়। অপবিনোদন বা বিকৃত আনন্দ কখনোই প্রত্যাশিত নয়। বিনোদনের নামে টিকটক, লাইকি অ্যাপ এসব অ্যাপের কোনো ইতিবাচক দিক নেই। এ অ্যাপের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদেরকে টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেয়। এসব লাইভের অধিকাংশই যৌন উস্কানিতে ভরা থাকে।
এসব অ্যাপের মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে অধিকাংশই নানাবিধ ভীনদেশী ও অপসংস্কৃতির বেড়াজালে আটকা পড়ছে। সুস্থ ধারার সংস্কৃতির পরিবর্তে সস্তা ও নিম্নমানের সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এসব কারণে যেন আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সুদৃঢ়ের ফাটল না ধরে। এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
(লেখক : শিক্ষার্থী, আইন ২য় বর্ষ , শেখ বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)
খুলনা গেজেট /এমএম