খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২০১৮’র রাতের ভোটের দায় স্বীকার করে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার জবানবন্দি
  শেখ হাসিনাসহ তিনজনের পক্ষে অভিযোগ গঠনে সময় আবেদন, পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই
মহানগর বিএনপির জরুরি সভায় এড. মনা

সোয়া ৩ কোটি নতুন ভোটার তিনটি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাদ পায়নি

গেজেট ডেস্ক

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, দেশে সোয়া তিন কোটি নতুন প্রজন্মের ভোটার এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পরেননি। কীভাবে ভোট দিতে হয়, সেটাও তারা জানেন না। অন্তর্বরতীকালীন সরকারের কাছে আহবান দ্রুত দেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটা সুষ্ঠু পরিবেশে সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি কার্যালয়ে মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও তিনটি ইউনিয়নে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম বিষয়ক মহানগর বিএনপির জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সে নির্বাচনে দেশের নিরীহ সাধারণ মানুষগুলো, যারা গত ১৬টা বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি, তারা ভোট দিতে পারবে। কারণ, আমরা এখন স্বাধীন। এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সকলে মিলে ভোট দিতে পারব। এই ভোটের মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হলেই জনগণ তার পরিপূর্ণ গণতন্ত্রের স্বাদ পাবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে ভোটার বেড়েছে সোয়া ৩ কোটি, যাদের বয়স কিনা ১৮ থেকে ২৯ বছর। আর তাদের জীবনে তিনটি জাতীয় নির্বাচন এলেও স্বাদ পাননি ভোটাধিকার প্রয়োগের। কেননা ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হয়েছে রাতের ভোট। আর ২০২৪ সালে হয়েছে ডামি নির্বাচন।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, জীবনের প্রথম ভোটটি দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন কোটি কোটি নতুন ভোটার। নতুন ভোটারদের দলের সদস্য করা না হলে তারা অন্য দলে ভিড়ে যাবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এ সুযোগে আওয়ামী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, দাগি আসামিরা বিএনপিতে ঢুকে পড়তে না পারেন। যারা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের প্রতি আস্থাশীলরা তারাই বিএনপির সদস্য হতে পারবেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মোট ভোটারের প্রায় ৩০ শতাংশই হবে তরুণ। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বাচনে নানামুখী কারসাজির আশ্রয় নেওয়ায় ভোটারদের বড় অংশ দীর্ঘদিন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি; তারা ভোট প্রদানের ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। বর্তমানে দেশে নির্বাচনি আবহ বিরাজ করছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, হাফিজুর রহমান মনি, এড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, নাসির উদ্দিন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মতলুবুর রহমান মিতুল, গাজী সোহাগ, আব্দুল আজিজ সুমন, মিরাজুর রহমান মিরাজ, আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, ইঞ্জি. নুর ইসলাম বাচ্চু, এড. হালিমা আক্তার খানম, রবিউল ইসলাম রবি, তাজিম বিশ্বাস প্রমূখ।

সভার শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে নিহততে আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মহানগর বিএনপি তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদককে ১১টি করে ইউনিট ভাগ করে সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদীকে খানজাহান আলী থানার তিনটি, দৌলতপুর থানার ৬টি, খালিশপুর থানা ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের, মাসুদ পারভেজ বাবুকে খালিশপুর থানার ৯, ১০,১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ ও সোনাডাঙ্গা থানার ১৬. ১৭, ১৮ ও ১৯নং ওয়ার্ডের এবং চৌধুরী হাসানুর লশিদ মিরাজকে সোনাডাঙ্গা থানার ২০, ২৫, ২৬ ও খুলনা সদর থানার ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০নং ওয়ার্ডের সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

এছাড়া ৩১নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!